আল্লামা
তৈয়্যব শাহ (রহঃ) আধ্যাত্মিকতার বাস্তব মডেল
আলহাজ্ব
মোহাম্মদ আশরাফ আলী
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন
ও তার প্রিয় হাবীব
সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াসাল্লামের আলীশান
দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া
জ্ঞাপন করছি যে, পৃথীবির
বুকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে সৃষ্টি করেছে,
শ্রেষ্ঠ নবী দিয়েছেন, শ্রেষ্ঠ
দীন তথা ধর্ম দিয়েছেন,
শ্রেষ্ঠ মাযহাবের অন্তর্ভূক্ত করছেন তারই ধারাবাহিকতায়
শ্রেষ্ঠ তরিকাও শ্রেষ্ঠ মুরশিদ
তথা আওলাদে রসূলের ধামান
সৌভাগ্যে নছিব হয়েছে।
এর শুকরিয়া কেয়ামত পর্যন্ত আদায়
করলেও শেষ হবে না। (আলহামদুলিল্লাহ!)
এমন এক আধ্যাত্মিক মহান
পুরুষের হাতে হাত রেখে
বায়াত গ্রহণ করেছি যাঁকে
প্রথম দর্শনেই মেনে নিয়েছি যে,
ইনি আর দশজন পীরের
মত সাধারণ মানুষ নন। ইনি
সত্যিকারের আওলাদে রাসুল।
তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার পাওয়ার
লক্ষণীয়। যাদের
প্রথম মেধা, আন্তরিক নিষ্ঠা
এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহ
আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র
সীমাহীন এশ্ক ও মোহাব্বতের
সোনালী ফসল এ পর্যন্ত
আমরা দুহাতে পরিবেশন করে
বাংলার তৃষিত রাসুল প্রেমিকগনের
মনন জগতে নতুন বিপ্লব
সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছি
তাদের মধ্যে অন্যতম মহান
আধ্যাত্মিক পুরুষ রাসুলে খোদা
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামর
৪০তম বংশধর উপমাহদেশর অন্যতম
সাধক কঠিন রিয়াজত ও
অকৃত্রিম ত্যাগী মহিমান্বিত পুুরুষ,
শাহেন শাহে সিরিকোট (রাহমাতুল্লাহি
আলাইহি) নামে সর্বপরিচিত, মহান
ব্যক্তিত্বের যোগ্য উত্তরসুরী, মাদারজাত
অলী, সুদূর পাকিস্তানের উত্তর
পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে উদ্ভাসিত “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম” এর বাস্তব মডেল
সৈয়দী রাহবার রাহ্নুমা হুজুর
সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রাহমাতুল্লাহি
আলাইহি)। যাঁর
আগমন এ শস্য-শ্যমলা,
সুজলা-সুফলা, নদ-নদী
ঘেরা বাংলার সমস্ত সৃষ্টির
স্রষ্ঠা, ক্ষমতার মালিক আল্লাহ ও
তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামার পক্ষ হতে অবিস্মরণীয়
নেয়ামত।
বর্তমান
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের, অপসংস্কৃতি
ও সভ্যতার সয়লাবে ছাত্র, যুবক,
কৃষক শ্রমিক আবালবৃদ্ধ বণিতা
যখন সর্বশান্ত। ইসলামী
ঐতিহ্য চর্চা যখন বন্ধ
শিকলে বাধা, প্রতিপক্ষদের প্রস্তুতি
যখন অকল্পনীয় অন্যদিকে কাদিয়ানী এবং নাস্তিক মুরতাদ
চক্র যখন জংগীরূপ ভূমিকা,
সন্ত্রাস পেশীবাজ দুবৃত্তরা যখন সংগঠিত, এমনি
সময়ে প্রকৃত অলির ঐশি
শক্তি বুকে ধারণ করে
সবধরনের কুচক্রি ও অপশক্তির ষড়যন্ত্রের
জাল ছিন্ন করে সম্মুখপানে
অগ্রসর হতে হবে।
হুজুর কেবলার মুল দর্শন,
তাওহীদ, রেসালাত ও বেলায়তের শ্লোগানে
শ্লোগানে মুখরিত করতে হবে,
তবেই সত্য ও ন্যায়
প্রতিষ্ঠিত হবে, অন্যায় দূরিভূত
হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ। মুর্শিদে
বরহকের প্রচেষ্টা ও নেগাহে করমে
আজ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, বার্মা,
আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আমেরিকা,
বৃটেন, ইত্যাদি দেশে গড়ে উঠেছে
বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকাহ
শরিফসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে
সমস্ত প্রতিষ্ঠান হতে গবেষণালব্দ তথ্য
ও তত্ত্বসমূহ ফযিলত বিজ্ঞান সম্মত
পবিত্র কুরআন সুন্নাহ আলোকে
প্রকৃত দ্বীনী দাওয়াত ও
শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
বিশ্ববাসী বুঝতে সক্ষম হচ্ছে
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সেই অমীয়
ঘোষনা “লাক্বাদ কানা লাকুম ফি
রাসুলিল্লাহি উসওয়াতুন হাসানা” অথাৎ রাসুলে খোদার
মধ্যে নিহিত রয়েছে সর্বোত্তম
এ আদর্শ যা ইহকাল
ও পরকাল উভয়ের জন্যই
মুক্তির পথ। হুজুর
কেবলা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) হাজারো কারামাত, বংশ
পরিক্রমা, শান-শওকত, মর্যাদা
ও বহুমুখী অবদান সম্পর্কে এতটুকু
বলার মত সামর্থ আমার
নেই। দলমত
ও ধর্ম নির্বিশেষে তিনি
গ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধার পাত্র,
অনুসরনীয় ব্যক্তিত্ব। সন্নীয়তের
আলোকে বিশ্বে ইসলামী হুকুমাত
কায়েম করার লক্ষ্যে বিশ্বের
সকল মুসলিম মিল্লাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে
কাজ করার আহবানে যাঁর
শ্রম ও ত্যাগ সব
চাইতে উল্লেখযোগ্য, তিনিÑ প্রকৃত হেদায়াতের
বাস্তব মডেল আল্লামা সৈয়্যদ
মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি
আলাইহি। তার
আধ্যাত্মিকতার পাওয়ার দ্বারা কত
বেদ্বীনকে দ্বীনের পথে এনেছে তার
হিসেব রাখাই মুশকিল।
আমি অধম তার কদমের
উছিলায় অসংখ্যবার কা’বাশরীফ ও
মদিনা শরীফ, আজমীর শরীফ,
বাগদাদ শরীফ যেয়ারত করার
তৌফিক হয়েছে। আমার
বিশ্বাস নিশ্চয়ই এটা আমার মুুর্শিদ
কিবলার আধ্যাত্মিক পাওয়ারের একটা বাস্তব নমুনা
মাত্র। মহান
আল্লাহ ও তার প্রিয়
হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার
এর দরবারে আরজ আমার
এই হাজিরী তার দরবারে
কবুল হউক। (আমিন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন