মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল আলী কাদেরী
পবিত্র কুরআনের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামقُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (৫৮)
১. হে হাবিব! আপনি বলুন, আল্লাহ রই অনুগ্রহ ও তাঁরইদয়া, এবংসেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিৎ। যা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়(সূরাঃইউনুস, আয়াতঃ৫৮)।
২. عن ابن عباس رضي الله عنهما في الآية قال : فضل الله العلم
،ورحمته النبي صلى الله عليه وآله وسلم ، وفي الدر المنثور للحافظ السيوطي (৪/৩৬৭)
অত্র আয়াতের তাফসীর হযরত আব্দুসাল্লামহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন- আল্লাহ র অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ)দ্বারা“ইলম বা কোরআন” আর তাঁর দয়া (রাহমাতিহী) দ্বারা “হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ”বুঝানো হয়েছে (সূরাঃআম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৭, তাফসীরে আদ্-দুররুল মানসুর, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৬৭, তাফসীরে নঈমী-১১তম খন্ড পৃ-৩৬৮, তাফসীরে নূরুল ইরফান পৃঃ ৫৬১, তাফসীরে রূহুল মা’আনী ১০ম খন্ড, পৃঃ ১৪১, তাফসীরে কবীর ১৭ তম খন্ড, পৃঃ ১৩২)।
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ (১০৭)
অর্থ: আর আমি আপনাকে (হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জগতসমূহের প্রতি কেবল রহমত রূপেই প্রেরণ করেছি (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ১০৭)।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمْ بُرْهَانٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُورًا مُبِينًا (১৭)
অর্থ: হে মানবকুল! নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহ র নিকট থেকে সুস্পষ্টপ্রমাণ (রাসূল) এসেছে এবং আমি তোমাদের প্রতি উজ্জল আলো অবতীর্ণ করেছি। (সূরাঃ নিসা, আয়াত ঃ ১৭৫)।
(৪) { قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ الله نُورٌ } رسول يعني محمداً { وَكِتَابٌ مُّبِينٌ
অর্থ: (নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহ র পক্ষ থেকে একটা ‘নূর’ (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং স্পষ্ট কিতাব (কুরআন) এসেছে, নূর দ্বারা “হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ”বুঝানো হয়েছে (সূরাঃমায়িদা, আয়াতঃ১৫, তাফসীরে জালালাইন-পৃ:৯৭, তাফসীরে কবীর-খন্ড:৩য়, পৃ-৩৮৬, তাফসীরে খাজেন, খন্ড-১ম, পৃ-৪৪৪, তাফসীরে মাদারীক-খন্ড ১ম, পৃ-৪১, তাফসীরে রুহুল মা’আনী-খন্ড ৪র্থ, পৃ-৫৭, তাফসীরে বায়দ্বাবী খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৮, তাফসীরে কুরতুবী খন্ড-৩য়, পৃ-৪৮৫, তাফসীরে রুহুল বায়ান খন্ড-৩য়, পৃ-২৭০
(৫)هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ (৩৩)
তিনিই হন, যিনি আপন রাসূলকে পথ-নির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেন (সূরাঃ তাওবা, আয়াতঃ৩৩)।
عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ (১২৮))لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا
অর্থনিশ্চয় তোমাদের নিকট তাশরীফ আনয়ন করেছেন তোমাদের মধ্যেথেকে ঐ রাসূল, যাঁর নিকট তোমাদের কষ্টে পড়া কষ্টদায়ক, তোমাদের কল্যাণ অতিমাত্রায় কামনাকারী, মুসলমানদের উপর পূর্ণ দয়ার্দ্র, দয়াময় (সূরাঃ তাওবা, আয়াতঃ১২৮)।
(৭) وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ (৬
এবং স্মরণ করুন ! যখন মারিয়াম-তনয় ঈসা বললো, ‘হে বনী ইস্রাঈল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহ রই রাসূল;আমার পূর্বেকার কিতাব সত্যায়নকারী এবং সম্মানীত রাসূলের সুসংবাদদাতা হয়ে, যিনি আমার পরে তাশরীফ আনবেন, তাঁর নাম হবে ‘আহমদ’ (সূরাঃ সাফ্ফ, আয়াতঃ৬)।
(৮) لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (১৬৪)
অর্থনিশ্চয় আল্লাহ র মহান অনুগ্রহ হয়েছে মুসলমানদের উপর যে, তাদেরই মধ্যে থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন। যিনি তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং তাদেরকে পবিত্র করেন। এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দান করেন এবং তারা নিশ্চয় এর পূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল (সূরাঃআল্ ইমরান, আয়াত ঃ ১৬৪)।সুতরাং উপরোক্ত আয়াতে কারীমাতে কোনটিতে প্রত্যক্ষভাবে আবার কোনটিতে পরোক্ষভাবে নবীজির মিলাদের কথা বলা হয়েছ্্ে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন